প্রতিশ্রুতি দিয়েও সৌদি আরব অর্থ দেয়নি, তাই বাংলাদেশের অর্থে দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান। আজ শনিবার বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সৌদি সরকারের সাথে আলোচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলা সদরসহ দেশের প্রতিটি উজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন। যার অর্থ দেয়ার কথা ছিল সৌদি সরকারের। সৌদি আরবের আশ্বাস পেয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সৌদি আরব অর্থ না দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের অর্থে মসজিদগুলো নির্মাণ শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই ৫০ টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে আর আরো ১০০টি মসজিদ উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। মসজিগুলো নির্মাণ করতে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান তিনি।
সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মকে কেন্দ্রে করে দেশের বিভিন্নস্থানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি চক্র। তাই সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখতে গেলে কয়েকজন মিলে আলোচনা করলে হবে না। উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় সকল ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে ধর্মীয় সংলাপ আয়োজন করতে হবে। এর ফলে এক ধর্মের মানুষের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষের শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়। এছাড়াও প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণেরও দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা সদর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত হাচানুর রহমান রিমন, বরগুনা মহিলা সংরক্ষিত সদস্য সুলতানা নাদিয়া, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক প্রমুখ।